Eimply dummy text printing ypese tting industry.
Eimply dummy text printing ypese tting industry.
Eimply dummy text printing ypese tting industry.
অবস্থানঃ মুহাম্মদাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসাটি ঢাকা-মহানগরীর (উত্তর) মিরপুর থানাধীন সরকারি বাঙলা কলেজের পূর্বপাশে মধ্যপাইকপাড়ায় অবস্থিত।
প্রতিষ্ঠাকালঃ
* ইবতেদায়ী (প্রাথমিক) ০১ জানুয়ারি ১৯৮৩ ইং
* দাখিল (মাধ্যমিক) ০১ জানুয়ারি ১৯৯৭ ইং, এম.পি.ও ভূক্ত ২০০১
* আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক) ০১ জানুয়ারি ২০০২ ইং
* সভাপতিঃ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্জ অধ্যাপক মাওলানা মোঃ আবুল কালাম (প্রাক্তন রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড) তিনি বর্তমানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
আল্লাহ প্রদত্ত ও মহানবী (সাঃ) প্রদর্শিত শিক্ষাব্যবস্থার নিরিখে আধুনিক শিক্ষার সাথে সমন্বয় রেখে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে একদল আল্লাহ ভীরু, সৎ, যোগ্য, দেশ প্রেমিক, দক্ষ জনশক্তি ও সু-নাগরিক গড়ে তোলা।
১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় নয় মাস সশস্ত্র
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাকিস্তানিদের থেকে ছিনিয়ে আনার
ও স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্তি পালনের জন্য বাংলাদেশ
সরকার কর্তৃক ঘোষিত বার্ষিক পরিকল্পনা যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার
সুবর্ণ জয়ন্তী নামে পরিচিত।
বি. এ. অনার্স, প্রথম শ্রেনিতে প্রথম (ইস স্টাডিজ)
এম. এ, প্রথম শ্রেনিতে ৬ষ্ঠ স্থান (ইস স্টাডিজ)
এম ফিল ( থিসিস সহ ডিগ্রী লাভ ২০১৪, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় )
( বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা প্রসারে মাওলানা আবুল কাসেম মুহাম্মদ ছিফাতুল্লাহ-এর অবদান )
পিএইস.ডি. ডিগ্রি লাভ-২০১৯ ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
( গবেষণার বিষয়ঃ উপমহাদেশের ধর্ম তাত্ত্বিক দলঃ পরিচিতি ও মতাদর্শ )
বি.এড, প্রথম শ্রেনি এবং কামিল প্রথম শ্রেনি
বিশেষ অর্জনঃ
(১) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়জিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে ২০১৬-২০১৯ খ্রিঃ ৩য় বারের মত ঢাকা মহানগরীর শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত ।
(২) শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা সংসদ অ্যাওয়ার্ড-২০১৭” অর্জন।
(৩)শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য “ শেরে-বাংলা শাইনিং পারসোনালিটি অ্যাওয়ার্ড-২০১৭” অর্জন।
..........................
আমাদের অর্জন
২০২১ সালে বাংলাদেশ মাদরাসা বোর্ডে দাখিল পরীক্ষায় “সরকারী বৃত্তিতে সমগ্র বাংলাদেশে ট্যালেন্টপুলে ১ম ও ২য় স্থান লাভ করেছে।” অত্র মাদরাসাটি সরকারীভাবে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রাপ্ত হয়েছে ঢাকা মহানগরীর শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রায় প্রতি বছরই মাদরাসাটি মাদরাসা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত পঞ্চম, ৮ম, দাখিল ও আলিম শ্রেণির একাধিক বৃত্তি লাভ করে আসছে। এছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য অত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ ‘স্বাধীনতা সংসদ এডুকেশন এ্যাওয়ার্ড-২০১৭’, ‘শেরে বাংলা শাইনিং পার্সোনালিটি এ্যাওয়ার্ড-২০১৭’ এ ভুষিত হন।
আব্দুল কাদের ফকির
থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার
মিরপুর-১, ঢাকা-১২১৬।
মুহাম্মদাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা শুধু মিরপুর থানার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় বরং বৃহত্তর ঢাকা মহানগরীর অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। নিরলস সাধনা, শ্রম ও নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই মাদরাসা। এই মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী সকলেই মেধাবি, পরিশ্রমী এবং দায়িত্বশীল। এই প্রতিষ্ঠানটি অধ্যক্ষ মহোদয়ের বুদ্ধিদীপ্ত সুনিপুণ পরিচালনা ও নিরলস আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সঠিক নির্দেশনার ফলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৬ এ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রফিক শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ নানা গুণের কারণে সেদিনের ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটি পরিণত হয়েছে বিশাল মহীরুহে। শিক্ষাক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানটি অবদান রেখে চলছে। যার প্রমাণ ২০১১ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে সেরা দশ-এ স্থান লাভ। মাদরাসার সাথে সম্পৃক্ত সকলের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান থাকবে এ সুনাম সুখ্যাতি যেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে।
অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে বার্ষিকী ২০১৭ প্রকাশিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এই ক্ষুদে লেখকদের প্রতিভা বিকাশের সৃজনশীল উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি কামনা করি এই বার্ষিকীটি যেন নিয়মিতভাবে প্রতিবছরই প্রকাশিত হয়। প্রকাশনার সাথে সম্পৃক্ত সকলের প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আল্লাহ হাফেজ।
(আব্দুল কাদের ফকির)
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রফিক
অধ্যক্ষ
মুহাম্মদাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা।
সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন-এর যার অপার করুণায় “মুহাম্মদাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা” নানা প্রতিকূলতা সত্বেও মাদরাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে আল্লাহ তায়ালার অসীম রহমতে অত্র মাদরাসা শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে ঢাকা মহানগরীর শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান এবং শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছে এবং মিরপুর থানায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান এবং শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ, শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ ছাত্র নির্বাচিত হওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মহান আল্লাহ তা’য়ালা যে মৌলিক শিক্ষা গ্রহণের তাগিদ করেছেন, তা হচ্ছে ওয়াহী ভিত্তিক শিক্ষা যা জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ। ভৌগলিক সীমারেখা পেরিয়ে যার উদাত্ত আহবান। তাই এ শিক্ষার বিকিরণ মানুষকে পৌছে দিয়েছে জ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নত শিখরে। আধুনিক বিশ্বের আলোকিত সভ্যতার সক্ষমতা অর্জনের জন্য এবং একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় মুহাম্মদাবাদ ইসলামিয়া মাদরাসা গড়ে তোলা হয়েছে। যুগের চাহিদার সাথে সংগতি রেখে বিজ্ঞান বিভাগ, কম্পিউটার শাখা ও হিফজুল কোরআন বিভাগ চালু করা হয়েছে। ছাত্রীদের জন্য আলাদা শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাহিত্য মানুষের মনের আয়না। আর সেই আয়নায় মানব সভ্যতার প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত হয়। তেমনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিকী সেই প্রতিষ্ঠানের দৰ্পন স্বরুপ। কারণ শিক্ষার্থীদের মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভা সহনশীলতা, মেধার সৃষ্টিশীলতা শৈল্পিক অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটে বার্ষিকীর মাধ্যমে। মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি সাহিত্যে ফুটিয়ে তোলার নিপুণ কারিগর হলেন সাহিত্যিকগণ। মুহাম্মদাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার সাহিত্য চর্চার দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসাবে “বার্ষিকী-২০১৭” প্রকাশ হতে যাচ্ছে, যা আজকের ও আগন্তুক নতুন শিক্ষার্থীদের পথিকৃৎ হিসাবে পথ দেখাবে এবং তাদের চিন্তা-চেতনা ও কর্মোদ্দীপনা বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতির ইতিহাসে এর প্রতিষ্ঠিত পরিচালনা পরিষদ, এলাকাবাসী, ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী-বেসরকারী ব্যক্তিবর্গের সাহায্য ও সহযোগিতার কথা আমরা কখনও ভুলব না।
যাদের প্রচেষ্টা, রক্ত ঝরা আত্মত্যাগ, প্রেরণা ও দোয়ায় প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান অবস্থায় পৌছেছে। বিশেষ করে যারা মাদরাসার জমি দান করেছেন আল্লাহ পাক উত্তম প্রতিদান দিন এবং যারা পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন তাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউসে উচ্চমর্যাদায় সমাসীন করুন।
পরিশেষে বার্ষিকী সম্পাদক মাওলানা সালাহ উদ্দিন ও পরিষদের অন্যান্য সদস্য যাদের সার্বিক সহযোগিতায় বার্ষিকী প্রকাশ করা সম্ভব হলো তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা আমাদের সকলের এ প্রাণ প্রিয় প্রতিষ্ঠানটিকে কবুল করুন, আমীন। (মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রফিক)