অধ্যক্ষ মহোদয়ের জীবন বৃত্তান্ত

ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রফিক ১৯৭৬ সালের পহেলা জানুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়া ইউনিয়নে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ নপাইয়া হুগলটুরি হামিদিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা হতে ১৯৯০ সালে দাখিল স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে পাস করেন। এরপর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে ফাজিল এবং কামিলে হাদিস বিভাগে ৭৫০ নম্বর প্রাপ্ত হয়ে প্রথম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ইসলামী স্টাডিজ বিভাগে বিএ অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে ১ম স্থান লাভ করে শিক্ষাজীবনে এক নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেন। এরপর এম.এ প্রথম শ্রেণিতে ৬ষ্ঠ স্থানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। একাডেমিক সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভ করার পরেও তিনি কোন কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন পেশা গ্রহণ না করে নিজের চিন্তা চেতনা এবং মাদ্রাসার শিক্ষার আমূল পরিবর্তনের জন্য ১৯৯৭ সালে চলে আসেন সদ্য প্রতিষ্ঠিত এই মুহাম্মদাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায়। ১৯৯৭ সালে নবম শ্রেণি খোলার অনুমতি লাভ করে ১৯৯৮ সালে প্রথম দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ সফলতা লাভ করে। ২০০১ সালে মাদ্রাসাটি দাখিল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হলে ২০০৪ সালে আলিম পর্যায়ে উন্নীত হয় এবং ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিটে অত্র মাদ্রাসার ছাত্র প্রথম স্থান অর্জন করে সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। অধ্যক্ষ হিসেবে তখন থেকে ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম রফিকের নাম সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।প্রাতিষ্ঠানিক সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেই ড. রফিক ক্ষ্যান্ত হননি, শুরু করেন পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রির সাথে সাথে তিনি ‘শিখন শেখানো’ কৌশল আয়ত্ত করার জন্য বিএড কোর্সে ভর্তি হয়ে প্রথম শ্রেণিতে সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন।জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ এর নতুন কারিকুলামের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেই মাস্টার ট্রেইনার হিসাবে বিএমটিটিআই সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।এছাড়াও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত “জাতীয় শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ”, জনসংখ্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, নায়েম কর্তৃক আয়োজিত ‘লিডারশিপ ট্রেনিং” কোর্স এবং সরকারি টিটি কলেজে ব্যানবেইজ প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে তিনি নিজে উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছেন।
মিডিয়া পার্সোনালিটি হিসেবেও বিভিন্ন জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমে তার রয়েছে এক আলোকিত আলোচিত ব্যক্তিত্ব। দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে আনন্দঘন পরিবেশে জাতীয় দিবস সমূহ উদযাপন করা হয় এবং প্রতিযোগীদের মাঝে সুশীল সমাজের জ্ঞানী—গুণী ও সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে স্বাধীনতা ও বিজয়ের গল্প শোনানো হয় এবং পুরস্কার প্রদান করা হয়। আয়োজন করা হয় ছোট বড় একাধিক শিক্ষা সফর। শিক্ষার্থীরা অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে কখন পক্ষকাল ব্যাপী ‘বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ শুরু হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানগুলো জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আয়োজন করা হয়। এবং সমাপনী অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব অতিরিক্ত সচিব এবং ডিজি মহোদয়ের উপস্থিতিতে সমাপ্তি হয়।